আবারো ইউরোপ সেরা বার্সেলোনা
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতে নিয়েছে বার্সেলোনা।
এ নিয়ে চারবার ইউরোপ সেরা হলো বার্সেলোনা। এর আগে ২০০৯ সালে এই ম্যান ইউকে হারিয়েই তৃতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তোলে দলটি।
ওয়েম্বলিতে শনিবার রাতের ফাইনালে ঘরের সুবিধা পেয়েও প্রতিশোধ নিতে পারেনি ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যান ইউ। স্পেনের লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে প্রথমার্ধে সমান তালে লড়লেও দ্বিতীয়ার্ধে ছুটতে হয়েছে বলের পিছু পিছু।
নিজের মাঠ, তার উপর প্রতিশোধের স্পৃহা; দুইয়ে মিলিয়ে শুরুটা ভালোই করে ম্যান ইউ। প্রথম ধাক্কায় ভিক্টর ভালদেজের বেশ পরীক্ষাই নেয় তারা। তবে সময় গড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বার্সা। খেলায় প্রথমে গোল করার সুযোগও পায় তারা।
১৫ মিনিটের ওই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলেও ২৭ মিনিটে দলকে হতাশ করেননি পেড্রো। মাইকেল ক্যারিকের ঠিক পেছনে থেকে 'স্লাইড' করে জাভি বল ঠেলে দেন পেড্রোর পায়ে। এবার আর ভুল করেননি তিনি। বল জড়িয়ে দেন ম্যান ইউ'র জালে, সঙ্গে সঙ্গে স্তব্ধ ওয়েম্বলি; বার্সা এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে।
গোল হজম করে যেন জেগে ওঠে ম্যান ইউ। বার্সাকে মাঝমাঠ ছেড়ে দেয়া ঠিক হয়নি, তা বুঝতে পেরে মাঝমাঠের দখল নেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন স্যার আলেক্স ফার্গুসনের খেলোয়াড়রা। ফল পেতে বেশি দেরি হয়নি।
ওয়েম্বলি দেখেছে দারুণ বুদ্ধিদীপ্ত এক গোল। ওয়েন রুনি, রায়ান গিগসরা পুরো বোকা বানান বার্সার রক্ষণভাগকে। গিগস-রুনির দারুণ বোঝা পড়ায় ৩৪ মিনিটে প্রাণ ফিরে পায় ওয়েম্বলি, খেলায় ফিরে আসে ১-১ গোলে সমতা।
প্রথমার্ধের বাকি সময়টুকু বার্সার আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা ম্যানচেস্টারের রক্ষণভাগে বার বার হানা দিলেও কাজ হয়নি। গোল আদায় করতে পারেননি পেপ গার্দিওলার খেলোয়াড়রা।
তবে প্রথমার্ধে যে আভাস দিয়েছিল বার্সেলোনা, তা বাস্তবায়ন করতে বেশি দেরি করেনি দ্বিতীয়ার্ধে। ৫৫ মিনিটে লিওনেল মেসির জাদুর স্পর্শে আবার এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। এভরাকে বোকা বানিয়ে ২০ গজ দূর থেকে মেসির শট ফেরানো সম্ভব হয়নি ফন ডার সারের।
এবার পিছিয়ে পড়ার পর আর বার্সাকে ধরা সম্ভব হয়নি ম্যান ইউ'র। বরং তাদের রক্ষণভাগকে আরো চেপে ধরে বার্সেলোনা। একের পর এক সংঘবদ্ধ আক্রমণের ফসল ঘরে তোলে তারা ৭০ মিনিটে। গোল করে ব্যবধান (৩-১) বাড়ান ডেভিড ভিয়া।
মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত আর ব্যবধান ঘুচানো সম্ভব হয়নি ম্যান ইউ'র। তিন বছরের মধ্যে তাই দু'বার বার্সার কাছে হেরে ইউরোপ সেরা হওয়ার স্বপ্ন ভাঙলো তাদের।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
এ নিয়ে চারবার ইউরোপ সেরা হলো বার্সেলোনা। এর আগে ২০০৯ সালে এই ম্যান ইউকে হারিয়েই তৃতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তোলে দলটি।
ওয়েম্বলিতে শনিবার রাতের ফাইনালে ঘরের সুবিধা পেয়েও প্রতিশোধ নিতে পারেনি ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যান ইউ। স্পেনের লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে প্রথমার্ধে সমান তালে লড়লেও দ্বিতীয়ার্ধে ছুটতে হয়েছে বলের পিছু পিছু।
নিজের মাঠ, তার উপর প্রতিশোধের স্পৃহা; দুইয়ে মিলিয়ে শুরুটা ভালোই করে ম্যান ইউ। প্রথম ধাক্কায় ভিক্টর ভালদেজের বেশ পরীক্ষাই নেয় তারা। তবে সময় গড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বার্সা। খেলায় প্রথমে গোল করার সুযোগও পায় তারা।
১৫ মিনিটের ওই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলেও ২৭ মিনিটে দলকে হতাশ করেননি পেড্রো। মাইকেল ক্যারিকের ঠিক পেছনে থেকে 'স্লাইড' করে জাভি বল ঠেলে দেন পেড্রোর পায়ে। এবার আর ভুল করেননি তিনি। বল জড়িয়ে দেন ম্যান ইউ'র জালে, সঙ্গে সঙ্গে স্তব্ধ ওয়েম্বলি; বার্সা এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে।
গোল হজম করে যেন জেগে ওঠে ম্যান ইউ। বার্সাকে মাঝমাঠ ছেড়ে দেয়া ঠিক হয়নি, তা বুঝতে পেরে মাঝমাঠের দখল নেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন স্যার আলেক্স ফার্গুসনের খেলোয়াড়রা। ফল পেতে বেশি দেরি হয়নি।
ওয়েম্বলি দেখেছে দারুণ বুদ্ধিদীপ্ত এক গোল। ওয়েন রুনি, রায়ান গিগসরা পুরো বোকা বানান বার্সার রক্ষণভাগকে। গিগস-রুনির দারুণ বোঝা পড়ায় ৩৪ মিনিটে প্রাণ ফিরে পায় ওয়েম্বলি, খেলায় ফিরে আসে ১-১ গোলে সমতা।
প্রথমার্ধের বাকি সময়টুকু বার্সার আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা ম্যানচেস্টারের রক্ষণভাগে বার বার হানা দিলেও কাজ হয়নি। গোল আদায় করতে পারেননি পেপ গার্দিওলার খেলোয়াড়রা।
তবে প্রথমার্ধে যে আভাস দিয়েছিল বার্সেলোনা, তা বাস্তবায়ন করতে বেশি দেরি করেনি দ্বিতীয়ার্ধে। ৫৫ মিনিটে লিওনেল মেসির জাদুর স্পর্শে আবার এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। এভরাকে বোকা বানিয়ে ২০ গজ দূর থেকে মেসির শট ফেরানো সম্ভব হয়নি ফন ডার সারের।
এবার পিছিয়ে পড়ার পর আর বার্সাকে ধরা সম্ভব হয়নি ম্যান ইউ'র। বরং তাদের রক্ষণভাগকে আরো চেপে ধরে বার্সেলোনা। একের পর এক সংঘবদ্ধ আক্রমণের ফসল ঘরে তোলে তারা ৭০ মিনিটে। গোল করে ব্যবধান (৩-১) বাড়ান ডেভিড ভিয়া।
মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত আর ব্যবধান ঘুচানো সম্ভব হয়নি ম্যান ইউ'র। তিন বছরের মধ্যে তাই দু'বার বার্সার কাছে হেরে ইউরোপ সেরা হওয়ার স্বপ্ন ভাঙলো তাদের।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
0 comments:
Thanks for Comment