অনলাইন ক্লাসে সালমান তত্ত্ব!
www.khanacademy.org
বিশ্বের প্রভাবশালীদের তালিকায় যখন বাংলাদেশিদের নাম থাকে তখন অবাক হওয়া ছাড়া উপায় নেই। যুক্তরাষ্ট্রের টাইম ম্যাগাজিন কর্তৃক প্রকাশিত বিশ্বের প্রভাবশালীদের তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত সালমান খান। টাইম ম্যাগাজিনের ভাষায়, নিজ কাজের মাধ্যমে যারা সারাবিশ্বকে পাল্টে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন, যাদের আছে প্রভাব সৃষ্টির অপার সম্ভাবনা; সালমান খান তেমনই ব্যক্তিত্ব। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে শিক্ষাকে তিনি পৌঁছে দিচ্ছেন বিশ্বব্যাপী।
তবে মজার বিষয় হলো, বিশ্বকে বদলে দেওয়ার জন্য সালমান খান মোটেও কাজ শুরু করেননি। নিছক বোনকে গণিত শেখানোর কাজ করছিলেন তিনি। এবার গল্পটি বলা যাক। সালমান খানের বিয়ে হয় বোস্টনে। সেখানে থাকার সময়ে তার মামা বোস্টন শহরে আসেন। একদিন মামার কাছ থেকে জানতে পারেন মামাতো বোন নাদিয়া গণিতে খুব কাঁচা। এটি শুনতে পেয়েই তিনি নাদিয়াকে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। বোনের কাছে গণিত বিষয়টিকে মজার করে তোলার জন্য নিত্য-নতুন কৌশল প্রয়োগ করতে থাকেন। একসময় দেখা যায় নাদিয়া গণিতে ভালো নম্বর পাচ্ছে। বোনকে পড়ানোর বিষয়টি সালামান উপভোগ করতে থাকেন। শিক্ষক হয়ে যাওয়াটাও উপভোগ করতে থাকেন।
কিন্তু ধীরে ধীরে নতুন সমস্যা শুরু হয়। সমস্যাটা হলো ‘সময়’। চাকরি শেষে তিনি যখন বাড়ি ফেরেন তখন নাদিয়া ব্যস্ত থাকে অন্য কোনো কাজে। ঠিক তখনই তার মাথায় ভিন্ন ভাবনার সূত্রপাত হয়। ২০০৬ সালের নভেম্বরে ইউটিউবে একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন সালমান। গণিতের সমস্যাগুলোর সমাধান নিয়ে ভিডিও তৈরি করে তা আপলোড করেন ইউটিউবে। তখন নাদিয়া ও তার ভাইবোনরাও ভিডিও দেখে গণিত করা শুরু করে।
পড়ানোর এ ভিন্ন পদ্ধতি ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এটি বুঝতে পেরে সালমান শুধু গণিতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে জীববিদ্যা, অর্থনীতি, রসায়ন, ইতিহাস সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করতে থাকেন। তার কিছুদিন পরই প্রতিষ্ঠা করেন নিজ নামে ‘খান একাডেমী’ নামে চ্যারিটি প্রতিষ্ঠান। তারপর থেকে শুধুই এগিয়ে চলা। একপর্যায়ে চাকরি ছেড়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন খান একাডেমি নিয়েই।
এখন শুধু বোন নয়; তার ছাত্র বিশ্বজুড়ে। আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়াসহ নানা প্রান্তের শিক্ষার্থীদের যথাযথভাবে গড়ে তোলার চিন্তা যার মাথায় তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান তরুণ শিক্ষক সালমান খান।
সালমান খানের দাদাবাড়ি বাংলাদেশের বরিশালে। তাঁর বাবা ডা. ফখরুল আমিন খান চিকিৎসক ছিলেন। তাঁর দাদা আব্দুল ওয়াহাব খান ১৯৫৫ সাল থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত ছিলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার। সালমানের বাবা অভিবাসী হয়ে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানেই লুইজিয়ানার নিউ অরলিন্স শহরে ১৯৭৭ সালে সালমানের জন্ম। সবাই আদর করে ডাকেন ‘সাল’। তবে ১৯৯১ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সেই বাবাকে হারিয়ে বিমর্ষ হয়ে পড়েন সাল।
মেধাবী সালমান বিশ্বখ্যাত ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে গণিত এবং তড়িৎ প্রকৌশল ও কম্পিউটার বিজ্ঞান—এ দুই বিষয়ের ওপর স্নাতক সম্পন্ন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ প্রকৌশল ও কম্পিউটার বিজ্ঞান এর ওপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। অতঃপর এমবিএ করেন হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে।
মেধাবী সালমান কাজ করেছে ওরাকলের মতো প্রতিষ্ঠানে। সে সঙ্গে সিলিকন ভ্যালির এক ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানেও কাজ করেছেন। বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানে কাজ করেই তিনি বিপুল অর্থের অধিকারী হতে পারতেন। কিন্তু এতো কিছু চিন্তা করেননি তিনি। অনলাইন ক্লাসরুম খুলেই খুশী সালমান খান।
যাইহোক, তরুণ সালমান খান ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালির নিজ অ্যাপার্টমেন্টে সাজিয়েছেন তার শ্রেণীকক্ষ। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেখান থেকেই আলো ছড়িয়ে পড়ছে সারাবিশ্বে। আর এ মহান কর্মের গুণেই তিনি আজ বিশ্বের প্রভাবশালীদের একজন।
সালমান খানের ‘খান একাডেমী’ বিভিন্ন বিষয়ের উপর তিন হাজারের বেশি ভিডিও লেকচার, টিউটোরিয়াল তৈরি করেছে। বিষয়গুলোর মধ্যে আছে বীজগণিত, পাটীগণিত, ইতিহাস, ব্যাংকিং, পদার্থবিজ্ঞানসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা, ভেনচার ক্যাপিটাল, ক্রেডিট ক্রাইসিসের উপর নানা বিষয়ে অসংখ্য ভিডিও। যে কেউ খুব সহজেই যে কোনো সময়ে বিনা পয়সায় তাদের প্রয়োজনীয় বিষয়টি জেনে নিতে পারবেন।
তবে এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই স্বীকার করে বলেছেন, আমি কোনদিনই চিন্তা করিনি চাকরি বাদ দিয়ে শিক্ষার জন্য কাজ করবো। ‘খান একাডেমী’র মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী শিক্ষা ছড়িয়ে পড়ছে এই বিষয়েই খুশী তিনি। উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হলো, বহু প্রতিষ্ঠান খান একাডেমীকে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে বলেছে। কিন্তু তিনি রাজি হননি। অল্প কয়েকজনের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে ঠিকই চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন অনলাইন ক্লাসরুম। তাঁর ভিডিও টিউটরিয়ালগুলো ওপেনসোর্সে লাইসেন্সের অধীনে থাকায় যে কেউ অনলাইন থেকে লার্নিং ভিডিও ডাইনলোড করতে পারবে। শুধু তাই নয় অন্যকেও দেওয়া যাবে। সেই সঙ্গে নিজের উদ্যোগে যদি কেউ নিজ দেশে অনুবাদ করে চালাতে পারে সেটা করারও অধিকার দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২০১২ সালের জুনে অনুষ্ঠিতব্য এমআইটির ১৪৬ তম সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সালমান খান। ৩৫ বছর বয়সী সালমান খানই হতে যাচ্ছেন এমআইটির ইতিহাসে কনিষ্ঠতম সমাবর্তন বক্তা। ২০১২ সালের মে মাসে রাইস ইউনিভার্সিটিতেও সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে সালমান খানের।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় আরেকজন বাঙালি স্থান পেয়েছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তালিকায় স্থান পাওয়া অপর উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি ওয়ারেন বাফেট, পাকিস্তানের প্রথম অস্কার বিজয়ী শারমিন ওবায়েদ চিনয়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, ফুটবলার লায়নেল মেসি, টেনিস খেলোয়াড় নোভাক জোকোভিচ, রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মিট রমনি, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফ, কলাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল স্যান্তোস, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সঙ্গীতশিল্পী রিহানা প্রমুখ।
সূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমবিশ্বের প্রভাবশালীদের তালিকায় যখন বাংলাদেশিদের নাম থাকে তখন অবাক হওয়া ছাড়া উপায় নেই। যুক্তরাষ্ট্রের টাইম ম্যাগাজিন কর্তৃক প্রকাশিত বিশ্বের প্রভাবশালীদের তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত সালমান খান। টাইম ম্যাগাজিনের ভাষায়, নিজ কাজের মাধ্যমে যারা সারাবিশ্বকে পাল্টে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন, যাদের আছে প্রভাব সৃষ্টির অপার সম্ভাবনা; সালমান খান তেমনই ব্যক্তিত্ব। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে শিক্ষাকে তিনি পৌঁছে দিচ্ছেন বিশ্বব্যাপী।
তবে মজার বিষয় হলো, বিশ্বকে বদলে দেওয়ার জন্য সালমান খান মোটেও কাজ শুরু করেননি। নিছক বোনকে গণিত শেখানোর কাজ করছিলেন তিনি। এবার গল্পটি বলা যাক। সালমান খানের বিয়ে হয় বোস্টনে। সেখানে থাকার সময়ে তার মামা বোস্টন শহরে আসেন। একদিন মামার কাছ থেকে জানতে পারেন মামাতো বোন নাদিয়া গণিতে খুব কাঁচা। এটি শুনতে পেয়েই তিনি নাদিয়াকে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। বোনের কাছে গণিত বিষয়টিকে মজার করে তোলার জন্য নিত্য-নতুন কৌশল প্রয়োগ করতে থাকেন। একসময় দেখা যায় নাদিয়া গণিতে ভালো নম্বর পাচ্ছে। বোনকে পড়ানোর বিষয়টি সালামান উপভোগ করতে থাকেন। শিক্ষক হয়ে যাওয়াটাও উপভোগ করতে থাকেন।
কিন্তু ধীরে ধীরে নতুন সমস্যা শুরু হয়। সমস্যাটা হলো ‘সময়’। চাকরি শেষে তিনি যখন বাড়ি ফেরেন তখন নাদিয়া ব্যস্ত থাকে অন্য কোনো কাজে। ঠিক তখনই তার মাথায় ভিন্ন ভাবনার সূত্রপাত হয়। ২০০৬ সালের নভেম্বরে ইউটিউবে একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন সালমান। গণিতের সমস্যাগুলোর সমাধান নিয়ে ভিডিও তৈরি করে তা আপলোড করেন ইউটিউবে। তখন নাদিয়া ও তার ভাইবোনরাও ভিডিও দেখে গণিত করা শুরু করে।
পড়ানোর এ ভিন্ন পদ্ধতি ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এটি বুঝতে পেরে সালমান শুধু গণিতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে জীববিদ্যা, অর্থনীতি, রসায়ন, ইতিহাস সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করতে থাকেন। তার কিছুদিন পরই প্রতিষ্ঠা করেন নিজ নামে ‘খান একাডেমী’ নামে চ্যারিটি প্রতিষ্ঠান। তারপর থেকে শুধুই এগিয়ে চলা। একপর্যায়ে চাকরি ছেড়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন খান একাডেমি নিয়েই।
এখন শুধু বোন নয়; তার ছাত্র বিশ্বজুড়ে। আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়াসহ নানা প্রান্তের শিক্ষার্থীদের যথাযথভাবে গড়ে তোলার চিন্তা যার মাথায় তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান তরুণ শিক্ষক সালমান খান।
সালমান খানের দাদাবাড়ি বাংলাদেশের বরিশালে। তাঁর বাবা ডা. ফখরুল আমিন খান চিকিৎসক ছিলেন। তাঁর দাদা আব্দুল ওয়াহাব খান ১৯৫৫ সাল থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত ছিলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার। সালমানের বাবা অভিবাসী হয়ে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানেই লুইজিয়ানার নিউ অরলিন্স শহরে ১৯৭৭ সালে সালমানের জন্ম। সবাই আদর করে ডাকেন ‘সাল’। তবে ১৯৯১ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সেই বাবাকে হারিয়ে বিমর্ষ হয়ে পড়েন সাল।
মেধাবী সালমান বিশ্বখ্যাত ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে গণিত এবং তড়িৎ প্রকৌশল ও কম্পিউটার বিজ্ঞান—এ দুই বিষয়ের ওপর স্নাতক সম্পন্ন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ প্রকৌশল ও কম্পিউটার বিজ্ঞান এর ওপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। অতঃপর এমবিএ করেন হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে।
মেধাবী সালমান কাজ করেছে ওরাকলের মতো প্রতিষ্ঠানে। সে সঙ্গে সিলিকন ভ্যালির এক ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানেও কাজ করেছেন। বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানে কাজ করেই তিনি বিপুল অর্থের অধিকারী হতে পারতেন। কিন্তু এতো কিছু চিন্তা করেননি তিনি। অনলাইন ক্লাসরুম খুলেই খুশী সালমান খান।
যাইহোক, তরুণ সালমান খান ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালির নিজ অ্যাপার্টমেন্টে সাজিয়েছেন তার শ্রেণীকক্ষ। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেখান থেকেই আলো ছড়িয়ে পড়ছে সারাবিশ্বে। আর এ মহান কর্মের গুণেই তিনি আজ বিশ্বের প্রভাবশালীদের একজন।
সালমান খানের ‘খান একাডেমী’ বিভিন্ন বিষয়ের উপর তিন হাজারের বেশি ভিডিও লেকচার, টিউটোরিয়াল তৈরি করেছে। বিষয়গুলোর মধ্যে আছে বীজগণিত, পাটীগণিত, ইতিহাস, ব্যাংকিং, পদার্থবিজ্ঞানসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা, ভেনচার ক্যাপিটাল, ক্রেডিট ক্রাইসিসের উপর নানা বিষয়ে অসংখ্য ভিডিও। যে কেউ খুব সহজেই যে কোনো সময়ে বিনা পয়সায় তাদের প্রয়োজনীয় বিষয়টি জেনে নিতে পারবেন।
তবে এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই স্বীকার করে বলেছেন, আমি কোনদিনই চিন্তা করিনি চাকরি বাদ দিয়ে শিক্ষার জন্য কাজ করবো। ‘খান একাডেমী’র মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী শিক্ষা ছড়িয়ে পড়ছে এই বিষয়েই খুশী তিনি। উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হলো, বহু প্রতিষ্ঠান খান একাডেমীকে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে বলেছে। কিন্তু তিনি রাজি হননি। অল্প কয়েকজনের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে ঠিকই চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন অনলাইন ক্লাসরুম। তাঁর ভিডিও টিউটরিয়ালগুলো ওপেনসোর্সে লাইসেন্সের অধীনে থাকায় যে কেউ অনলাইন থেকে লার্নিং ভিডিও ডাইনলোড করতে পারবে। শুধু তাই নয় অন্যকেও দেওয়া যাবে। সেই সঙ্গে নিজের উদ্যোগে যদি কেউ নিজ দেশে অনুবাদ করে চালাতে পারে সেটা করারও অধিকার দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২০১২ সালের জুনে অনুষ্ঠিতব্য এমআইটির ১৪৬ তম সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সালমান খান। ৩৫ বছর বয়সী সালমান খানই হতে যাচ্ছেন এমআইটির ইতিহাসে কনিষ্ঠতম সমাবর্তন বক্তা। ২০১২ সালের মে মাসে রাইস ইউনিভার্সিটিতেও সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে সালমান খানের।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় আরেকজন বাঙালি স্থান পেয়েছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তালিকায় স্থান পাওয়া অপর উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি ওয়ারেন বাফেট, পাকিস্তানের প্রথম অস্কার বিজয়ী শারমিন ওবায়েদ চিনয়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, ফুটবলার লায়নেল মেসি, টেনিস খেলোয়াড় নোভাক জোকোভিচ, রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মিট রমনি, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফ, কলাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল স্যান্তোস, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সঙ্গীতশিল্পী রিহানা প্রমুখ।
0 comments:
Thanks for Comment