অন্ত্রের অস্বস্তিকর লক্ষণ ও উপসর্গ
লক্ষণ ও উপসর্গ
ইরিটেবল বাউয়েল সিন্ড্রম বা আইবিএস এর লক্ষণগুলো ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির শরীরে লক্ষণীয়ভাবে ভিন্ন ভিন্ন উপসর্গ দেখাতে পারে, তবে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো দেখা যেতে পারে:
১. উদরে চাপ অনুভব বা ব্যথা হওয়া|
২. ডায়রিয়া কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য, কিংবা একবার ডায়রিয়া একবার কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া, এবং মাস খানেক সময় ধরে এই অবস্থা চলতে থাকা।
৩. পেটে গ্যাস হওয়া এবং পেট ফেঁপে ওঠা।
৪. বিতৃষনাবোধ, বিশেষত খাবার পর|
৫. মাথাব্যাথা, অবসাদ, বিষাদগ্রস্ততা, কিংবা দু:শ্চিন্তাগ্রস্ততা|
৬. মল ত্যাগের পর মনে হওয়া যেন পুরোপুরি মল ত্যাগ হয় নি।
কী করা উচিত
যদি আপনার মধ্যে আইবিএস-এর লক্ষণ এবং উপসর্গগুলো দেখা যায় সেক্ষেত্রে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। এ সংক্রান্ত পরীক্ষা নিরিক্ষাগুলো করে অর্থাৎ ডায়াগনোসিস করে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনি আরও মারাত্মক কোন রোগে আক্রান্ত হতে যাচ্ছেন কি না। এবং ইতোমধ্যে এই রোগের অস্বস্তি এবং কষ্ট থেকে রেহাই পেতে নিজস্ব যত্নটুকু নিম্নোক্ত উপায়ে নিতে পারেন:
১. খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন এনে দেখতে পারেন কী ঘটে। চর্বিযুক্ত কিংবা স্নেহপদার্থ যুক্ত খাদ্যগুলো বর্জন করে চলুন, এবং অন্যান্য দাহজনক খাদ্য বস্তু যেমন ডিম, দুধের তৈরি খাবার, কফি এবং মশলাযুক্ত রান্না খাবার ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। তিন বেলা বেশি করে না খেয়ে বরং দিনে চার পাঁচবার অল্প অল্প করে খেতে পারেন, এতে করে হজমে সুবিধা হয়।
২. যদি আপনার ধুমপানের অভ্যাস থাকে, তবে ত্যাগ করুন।
৩. আপনার দৈনন্দিন ক্রিয়া-কর্মে নিয়মিতভাবে ব্যায়াম এবং বিশ্রাম বা আরামের বিষয়গুলি রাখুন।
কখন ডাক্তার দেখাবেন
জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন:
১. যদি উদরের বা তলপেটের উপরে বামপাশে ব্যথা থাকে, জ্বর থাকে এবং (হয়তো) মল ত্যাগের সংখ্যা হঠাৎ করে পরিবর্তন হয়, সেক্ষেত্রে আপনার হয়তো ডাইভারটিকিউলিটিস হয়েছে।
২. যদি আপনার জ্বর থাকে এবং একই সাথে ডায়রিয়াও থাকে, কিংবা রাতের বেলায় ডায়রিয়ার কারণে ঘুম ভেঙ্গে যায়, এবং আপনি যদি অপ্রত্যাশিতভাবে ওজন হারাতে থাকেন। সেক্ষেত্রে এগুলো হয়তো ইনফ্ল্যামেটোরি বাউয়েল ডিজিজ বা আইবিডি এর লক্ষণ।
৩. আপনার স্টুল বা মলের পরীক্ষা করিয়ে নিন এবং জেনে নিন মলের সাথে শ্লেষ্মা বা রক্ত পতিত হয় কি না, কিংবা আপনার দৈনন্দিন মল ত্যাগের সংখ্যার কোন আকসিôক পরিবর্তন হয়েছে কি না, সেক্ষেত্রে এটা আপনার মলদ্বারের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
৪. যদি আপনার রোগের লক্ষণগুলো আপনার দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটায়।
কিভাবে প্রতিরোধ করবেন
যেহেতু ইরিটেবল বাউয়েল সিন্ড্রমের কারণ অজ্ঞাত, তাই আপনার জন্যে সবচে ভালো পরামর্শটি হতে পারে যে: নিজের শরীরের সার্বিক যত্ন নিন: এবং ভালো ও উপযুক্ত খাবার আহার করুন এবং দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন চাপ থেকে নিস্কৃতি পাবার পদ্ধতি খুঁজে বের করুন।
www.doctor.bd24x7.com
ইরিটেবল বাউয়েল সিন্ড্রম বা আইবিএস এর লক্ষণগুলো ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির শরীরে লক্ষণীয়ভাবে ভিন্ন ভিন্ন উপসর্গ দেখাতে পারে, তবে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো দেখা যেতে পারে:
১. উদরে চাপ অনুভব বা ব্যথা হওয়া|
২. ডায়রিয়া কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য, কিংবা একবার ডায়রিয়া একবার কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া, এবং মাস খানেক সময় ধরে এই অবস্থা চলতে থাকা।
৩. পেটে গ্যাস হওয়া এবং পেট ফেঁপে ওঠা।
৪. বিতৃষনাবোধ, বিশেষত খাবার পর|
৫. মাথাব্যাথা, অবসাদ, বিষাদগ্রস্ততা, কিংবা দু:শ্চিন্তাগ্রস্ততা|
৬. মল ত্যাগের পর মনে হওয়া যেন পুরোপুরি মল ত্যাগ হয় নি।
কী করা উচিত
যদি আপনার মধ্যে আইবিএস-এর লক্ষণ এবং উপসর্গগুলো দেখা যায় সেক্ষেত্রে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। এ সংক্রান্ত পরীক্ষা নিরিক্ষাগুলো করে অর্থাৎ ডায়াগনোসিস করে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনি আরও মারাত্মক কোন রোগে আক্রান্ত হতে যাচ্ছেন কি না। এবং ইতোমধ্যে এই রোগের অস্বস্তি এবং কষ্ট থেকে রেহাই পেতে নিজস্ব যত্নটুকু নিম্নোক্ত উপায়ে নিতে পারেন:
১. খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন এনে দেখতে পারেন কী ঘটে। চর্বিযুক্ত কিংবা স্নেহপদার্থ যুক্ত খাদ্যগুলো বর্জন করে চলুন, এবং অন্যান্য দাহজনক খাদ্য বস্তু যেমন ডিম, দুধের তৈরি খাবার, কফি এবং মশলাযুক্ত রান্না খাবার ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। তিন বেলা বেশি করে না খেয়ে বরং দিনে চার পাঁচবার অল্প অল্প করে খেতে পারেন, এতে করে হজমে সুবিধা হয়।
২. যদি আপনার ধুমপানের অভ্যাস থাকে, তবে ত্যাগ করুন।
৩. আপনার দৈনন্দিন ক্রিয়া-কর্মে নিয়মিতভাবে ব্যায়াম এবং বিশ্রাম বা আরামের বিষয়গুলি রাখুন।
কখন ডাক্তার দেখাবেন
জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন:
১. যদি উদরের বা তলপেটের উপরে বামপাশে ব্যথা থাকে, জ্বর থাকে এবং (হয়তো) মল ত্যাগের সংখ্যা হঠাৎ করে পরিবর্তন হয়, সেক্ষেত্রে আপনার হয়তো ডাইভারটিকিউলিটিস হয়েছে।
২. যদি আপনার জ্বর থাকে এবং একই সাথে ডায়রিয়াও থাকে, কিংবা রাতের বেলায় ডায়রিয়ার কারণে ঘুম ভেঙ্গে যায়, এবং আপনি যদি অপ্রত্যাশিতভাবে ওজন হারাতে থাকেন। সেক্ষেত্রে এগুলো হয়তো ইনফ্ল্যামেটোরি বাউয়েল ডিজিজ বা আইবিডি এর লক্ষণ।
৩. আপনার স্টুল বা মলের পরীক্ষা করিয়ে নিন এবং জেনে নিন মলের সাথে শ্লেষ্মা বা রক্ত পতিত হয় কি না, কিংবা আপনার দৈনন্দিন মল ত্যাগের সংখ্যার কোন আকসিôক পরিবর্তন হয়েছে কি না, সেক্ষেত্রে এটা আপনার মলদ্বারের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
৪. যদি আপনার রোগের লক্ষণগুলো আপনার দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটায়।
কিভাবে প্রতিরোধ করবেন
যেহেতু ইরিটেবল বাউয়েল সিন্ড্রমের কারণ অজ্ঞাত, তাই আপনার জন্যে সবচে ভালো পরামর্শটি হতে পারে যে: নিজের শরীরের সার্বিক যত্ন নিন: এবং ভালো ও উপযুক্ত খাবার আহার করুন এবং দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন চাপ থেকে নিস্কৃতি পাবার পদ্ধতি খুঁজে বের করুন।
www.doctor.bd24x7.com
0 comments:
Thanks for Comment