আইসিসি টি-টোয়েন্টি-২০১৪ সালের বিশ্বকাপের উন্মোচন

আইসিসি বিশ্ব টি-টোয়েন্টি-২০১৪ ফাইনাল ঠিক একবছর পর হবে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সে বার্তা নিয়েই শনিবার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে।

বিশ্ব টি-টোয়েন্টি আয়োজনে বিসিবির প্রস্তুতি এবং ক্রিকেটারদের উদ্দীপনা সম্পর্কে বার্তা দেওয়াও ছিল এই সংবাদ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য। আইসিসির বিদায়ী হেড অব মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশন্স কলিং গিবসন সংবাদ সম্মেলন পরিচালনার শুরুতে বাংলায় জানতে চাইলেন সবাই কেমন আছেন। এরপর জানালেন, বাংলাদেশ থেকে তিনি বিশ্বকাপের মতো ইভেন্টের কার্যক্রম শুরু করেছিলেন শেষও করছেন এখানে। ১৫ এপ্রিল তিনি আইসিসিতে তিন বছরের চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ করে ফিরে যাচ্ছেন ইংল্যান্ডে। যোগ দিবেন ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডে (ইসিবি)।

সংবাদ সম্মেলনের মঞ্চে যে কয়জন ছিলেন তারা সবাই বাংলাদেশি। আইসিসি সহ-সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এবং নারী ক্রিকেট দলের প্রতিনিধি সাথিরা জাকির জেসি। মঞ্চের দুই পাশে দুটো ট্রফিও রাখা হয়। স্বাগতিক দুই ক্রিকেটারের কাছে হস্তান্তর করা হয় সে ট্রফি।

মুশফিককে দিয়ে শুরু হয়। বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন,‘দেশে যেকোনো পর্যায়ের খেলাই দারুণ উপভোগ্য। ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০১২ সালের এশিয়া কাপে বাংলাদেশ উন্নতির প্রমাণ রেখে কিছু ম্যাচও জিতেছে। ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির মতো ক্রিকেট ইভেন্টে বড় দলের বিপক্ষে পারফর্ম করার অভিজ্ঞতাই অন্যরকম। বাংলাদেশের মানুষ ক্রিকেট পাগল। আমাদের ভালো এবং খারাপ সময়ে তারা পাশে থাকে। এখনও এক বছরের মতো সময় পাব। এর ভেতরে ভালোভাবে তৈরি হয়ে টি-টোয়েন্টিতে দর্শকদের জন্য কিছু আনার চেষ্টা করবো।’

একই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল মুশফিকের পাশে থাকা জেসিকে। তিনিও সাহস দেখালেন মঞ্চে,‘বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে এই প্রথম খেলবে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ২০০৭ সালে যাত্রা করার পর এখনপর্যন্ত ১০টি টি-টোয়েন্টি খেলেছি আমরা। অভিজ্ঞ হয়ে উঠার জন্য এটা অপ্রতুল। তবুও আমাদের দল ভারতের মতো বিশ্বমানের দলের বিপক্ষে ভালোই খেলছে টি-টোয়েন্টিতে। অভিজ্ঞার অভাবেই তাদের কাছে আমরা হেরেছি। ২০১৪ সালে দেশের মাঠে বিশ্বকাপ হবে। নিজেদের দর্শকের সামনে খেলার সুবিধা পাব আমরা।’
২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একক আয়োজক বাংলাদেশ। পুরুষ এবং নারী উভয় বিশ্বকাপ পাশাপাশি চলবে। এই বিশ্বকাপে পুরুষদের ১৬টি এবং নারীদের আটটি দল অংশ নিবে। ১০টি টেস্ট দলের সঙ্গে কোয়ালিফাইং রাউন্ড থেকে খেলবে ছয়টি দল। নারী ক্রিকেটে বাংলাদেশ খেলবে স্বাগতিকতার সুযোগ নিয়ে।

ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির মূল ভেন্যু মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ও সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম। বিকল্প ভেন্যু হিসেবে থাকবে ফতুল্লা স্টেডিয়াম। আর মেয়েদের টুর্নামেন্টটি হবে কক্সবাজারে নির্মিতব্য নতুন স্টেডিয়ামে।

0 comments:

Thanks for Comment

Copyright © 2013 MEDIA INFO