বিলবোর্ড দিয়ে শুধু প্রচারণাই নয় বিলবোর্ড কাজে লাগিয়ে সুপেয় পানিও উত্পন্ন করা সম্ভব। পেরুর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বাতাসের আর্দ্রতা কাজে লাগিয়ে বিলবোর্ড থেকে খাবার পানি উত্পাদনের প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়েবসাইট বিগথিংক ডটকমের বরাতে এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে ডেইলি মেইল।

গবেষকেরা জানিয়েছেন, তরুণ প্রজন্মকে প্রকৌশলে আগ্রহী করে তুলতেই এ ধরনের নকশা করা হয়েছে। প্রযুক্তির ব্যবহার করে কীভাবে স্থানীয় সমস্যা দূর করা যায় তা বিলবোর্ডে তুলে ধরা হয়েছে। পেরুর পরিবেশের আর্দ্রতা কাজে লাগিয়ে কীভাবে বিলবোর্ড থেকে পানি উত্পাদন করা যাবে তা নিয়ে পেরুর প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজ্ঞাপনী সংস্থা মায়ো ড্রাফটএফসিবি একসঙ্গে কাজ করছে।

পেরুর রাজধানী লিমা, আয়তনে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজধানী। মরু অঞ্চলের কারণে এখানকার ৭০ লাখ মানুষের কাছে সুপেয় পানির তেমন কোনো সুব্যবস্থা নেই। এখানকার মানুষকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার পানি কিনে খেতে হয়। পাশাপাশি লিমার মানুষজনকে পানির জন্য সনাতনী সেই কুয়ার দূষিত পানির ওপরই ভরসা করতে হয় আর দূষিত পানি পান করার ফলে প্রতি বছর অনেক মানুষের মৃত্যু ঘটে ।

গবেষকেরা জানিয়েছেন, পেরুর বাতাসের আর্দ্রতা ৯৮ শতাংশ। এ আর্দ্রতাকে কাজে লাগিয়ে বিলবোর্ড থেকে পানি উত্পাদনের প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করা হচ্ছে। বিলবোর্ডের মধ্যে বসানো প্রযুক্তি বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ করে তা জমিয়ে ও পরিশুদ্ধ করছে যা পরবর্তীতে ব্যবহার করা যায়।

পেরুর বিজ্ঞাপন সংস্থা মায়ো জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত একটি বিলবোর্ড নয় হাজার ৪৫০ লিটার পানি উত্পন্ন করেছে। বিলবোর্ডের ইনভার্স অসমোসিস ফিল্টারেশন পদ্ধতি চালু রাখতে বিদ্যুতের প্রয়োজন পড়ে। প্রতিটি যন্ত্র গড়ে ২০ লিটার পর্যন্ত পানি ধারণ করতে পারে।

এ ধরনের বিলবোর্ড পানির সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সেখানকার গবেষকেরা।

=> প্রথম আলো

0 comments:

Thanks for Comment

Copyright © 2013 MEDIA INFO