আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১২তম জন্মবার্ষিকী পালিত হচ্ছে।


বিভিন্ন কর্মসূচিতে পালিত হচ্ছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১২তম জন্মবার্ষিকী।

এ উপলক্ষে বুধবার থেকে ঢাকাসহ দেশের চারটি এলাকায় কবির স্মৃতি বিজড়িত স্থানে সরকারি উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠান হচ্ছে।

বিদ্রোহী কবি নজরুল ১৮৯৯ সালের ২৫ মে (বাংলা ১৩০৬ সালের ১১ জৈষ্ঠ্য) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

দারিদ্র্যের সঙ্গে সংগ্রামরত দুখু মিয়া নামে পরিচিত নজরুল অল্প বয়সেই চলে আসেন ময়মনসিংয়ের ত্রিশালে। ত্রিশাল উপজেলার কাজীর শিমলা গ্রামে দারোগা রফিজউল্লাহ ১৯১৪ সালে তাকে স্কুলে ভর্তি করে দেন।

১৯১৭ সালের শেষদিকে ভারতীয় সেনবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। আড়াইবছর সেনাবাহিনীর চাকরি শেষে ১৯২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে কলকাতায় ফিরে সাংবাদিকতার পাশাপাশি লেখালেখিতে জোর দেন নজরুল।

এ সময় ব্রিটিশবিরোধী বক্তব্য উঠে আসে তার রচনায়। বিদ্রোহী, ভাঙার গানের মতো কবিতা মানুষকে মুক্তির চেতনায় উজ্জীবিত করে। রাজবন্দীর জবানবন্দি লেখায় তাকে কারাগারে পাঠায় উপনিবেশিক শাসক গোষ্ঠী। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেও অনুপ্রেরণা জোগায় নজরুলের গান-কবিতা।

বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে অসুস্থ কবিকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর বিশেষ সমাবর্তনের মাধ্যমে তাকে সম্মানসূচক ডক্টর অব লেটার্স (ডিলিট) ডিগ্রি দেয়।

১৯৭৬ সালে কবিকে 'একুশে পদক' দেওয়া হয়। সে বছরের ২৯ অগাস্ট তৎকালীন পিজি হাসপাতালে প্রয়াত হন মানবতা ও বিদ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলাম। জাতীয় মর্যাদায় কবিকে সমাহিত করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের উত্তরপাশে।
- মে ২৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

0 comments:

Thanks for Comment

Copyright © 2013 MEDIA INFO