কুরআনে গজব-আযাব প্রসঙ্গ
সাধারণত মনে করা হয় ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা এসবই হলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, খেয়ালি প্রাকৃতিক কারণে সময় সময় এসব হয়ে থাকে। কিন্তু তবুও প্রশ্ন জাগে, এ বিপর্যয় কেন হলো? এমন ভয়াবহ বিপদের কারণ কী? তথাকথিত প্রকৃতিই কি এর জন্য দায়ী? এতে মানুষের অন্যায় অনাচারের কোনো প্রতিক্রিয়া কি নেই?
বিজ্ঞান এ প্রশ্নের জবাবে নীরব। জ্ঞান অর্জনের আর সব সূত্রই এ পর্যায়ে অকেজো। কিন্তু মহাগ্রন্থ আল কুরআন এ সম্পর্কে নীরব নয়। যেহেতু কুরআন আল্লাহপাকের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব, সেহেতু এ মহাগ্রন্থ সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হজরত রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, যেহেতু পবিত্র কুরআনই সর্বকালীন মানুষের মুক্তির চিরস্থায়ী মহাসনদ, তাই পবিত্র কুরআনেই রয়েছে এ প্রশ্নের জবাব।
পবিত্র কুরআন আমাদের সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় কেন আসে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভয়াবহ বন্যা, ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড় প্রভৃতি। কেন বারবার নেমে আসে ধ্বংস মানুষের জীবনে। এ পর্যায়ে আল কুরআনে সর্বপ্রথম যে নীতি নির্ধারণীর কথা বলা হয়েছে তা এই, ‘এবং (হে রাসূল) আপনার প্রতিপালক সে পর্যন্ত কোনো লোকালয় ধ্বংস করেন না যে পর্যন্ত না তার সদর স্থানে কোনো রাসূল প্রেরণ না করেন। যে সেই জনপদবাসীর নিকট আমার আয়াতসমূহ পাঠ করে, আর যেসব জনপদের অধিবাসীরা অত্যাচারী, আমি শুধু তাদেরই ধ্বংস করি।’ এতে এ কথাই প্রমাণিত হচ্ছে যে, যদি কোনো স্থানের মানুষ জুলুম-অত্যাচার, অন্যায়-অবিচারে লিপ্ত হয়, তাদের প্রতিই আপতিত হয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা, ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড় প্রভৃতি ধ্বংস নেমে আসে। আল কুরআনে এসব বিষয়ে আল্লাহর তরফ থেকে বারবার সতর্কবাণী উচ্চারণ করা হয়েছে কিন্তু কুরআন খুলে দেখার লোক নেই, সতর্ক হতেও কেউ রাজি নয়।
মূলত পৃথিবীর ইতিহাসে রয়েছে এর বহু প্রমাণ যে, আল্লাহতায়ালার নাফরমান জাতিগুলোকে তিনি জগতের বুকে অশান্তি সৃষ্টি করার শাস্তিস্বরূপ ধ্বংস করে দিয়েছেন চিরতরে। কুরআনে পূর্বের ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিসমূহের ঘটনাবলি বর্ণনা করেছেন, যেন অনাগত ভবিষ্যতের মানুষ এ ঘটনাবলির দ্বারা উপদেশ গ্রহণ করে। যারা তাদের অন্যায় আচরণের দরুণ আল্লাহর কোপগ্রস্ত হয়েছে আগামী দিনের মানুষ যেন তাদের অনুসরণ করে এমনিভাবে বিপদগ্রস্ত না হয়।
কুরআনে আল্লাহ ইরশাদ করেছেন : ‘তারা কি দেখে না যে তারা প্রতি বছর একবার অথবা দু’বার বিপদগ্রস্ত হয়, অতঃপর তারা তওবা করে না এবং উপদেশও গ্রহণ করে না।’ [সূরা আত-তওবা : ১২৬] এতে এ কথাই প্রমাণিত হয় যে, প্রত্যেক বছর দেশে যে বন্যা, মহামারী, ঝড়, তুফান, টর্নেডো এবং এমনি আরো বিপদাপদ আসে, এসব বিপদ দেয়ার উদ্দেশ্য হলো আমাদের পবিত্র করে তোলা। আমাদের তওবা করার সুযোগ দেয়া। মোট কথা, এর পেছনেও রয়েছে এক মহান উদ্দেশ্য। তা হলো, আমাদের সংশোধন। এতে রয়েছে আমাদের জন্য সতর্ক সঙ্কেত আর এ দুর্যোগ প্রকৃতির খেয়াল-খুশিমত নয়, বরং আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী আসে। তাই কুরআনে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন : ‘আল্লাহতায়ালার হুকুম ব্যতীত কোনো বিপদই আসে না। (অর্থাৎ সব বালা-মুসিবত বিপদাপদ একমাত্র সেই সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালার আদেশানুযায়ী এসে থাকে) এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে সে তার অন্তরকে পথ প্রদর্শন করে, আর আল্লাহ সব বিষয়ে মহাজ্ঞানী।’ [সূরা আল-তাগাবুন : ১১]
কুরআনে আল্লাহ আরো এরশাদ করেন : ‘মানুষের কর্মের পরিণতিস্বরূপ স্থলে ও সমুদ্রে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে, যাতে করে মানুষ ফিরে আসে, আল্লাহ তাদের কৃতকর্মের কিছুটা স্বাদ ভোগ করাতে চান।’ [সূরা আর-রুম : ৪১] অর্থাৎ মানুষের অন্যায় আচরণের কারণে আল্লাহর অবাধ্যতা এবং নাফরমানির দরুনই আজ পৃথিবীর সর্বত্র অশান্তি বিরাজ করছে এবং চতুর্দিকে বিপদের ঘনঘটা দেখা দিয়েছে। বস্তুত আমাদের জন্য এ বিপদও কল্যাণকর হতে পারে, যদি আমরা এর দ্বারা উপদেশ গ্রহণ করি এবং আমাদের অবস্থার পরিবর্তন করি। শুধু এভাবেই আমরা পরকালের আজাব থেকে পরিত্রাণ লাভ করতে পারি। আর আল্লাহও চান যেন আমরা ইহকাল ও পরকালের আজাব থেকে মুক্তি লাভ করি।
আল্লাহ ইরশাদ করেন : ‘যদি তোমরা সৎ কাজ করো তবে তা তোমাদেরই উপকারার্থে। এর ফল তোমরাই ভোগ করবে। পক্ষান্তরে যদি তোমরা অন্যায় কাজে লিপ্ত হও, তবে তার শাস্তিও তোমাদেরই ভোগ করতে হবে।’ [সূরা বনি ইসরাইল : ৭] অতএব, যখনই পৃথিবীতে ঝড়-তুফান, ঘূর্ণিবার্তা, বন্যা এবং এ ধরনের বিপদ আসে, তখনই পরকালের মুক্তিকামী মানুষ সাবধান হয়, অন্যায় পথ পরিত্যাগ করে ন্যায়পথের অনুগামী হয়। অন্যায়-অনাচার জুলুম-অত্যাচার পাক-পঙ্কিলতায় পূর্ণ জীবন, আল্লাহর নাফরমানি ও অবাধ্যতা এবং নির্লজ্জতা, অশ্লীলতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে নেমে আসে আসমানী যমিনি বালা মুসিবত, ভয়াবহ ঝড়-তুফান, টর্নেডো এবং বন্যা, দেখা দেয় দুর্ভিক্ষের কালো ছায়া, অগ্নিকাণ্ড, মহামারী, ভূমিকম্প আর ধ্বংস। তখন সর্বাগ্রে আমাদের একান্ত কর্তব্য হলো তওবা এস্তেগফারের পথ অšে¦ষণ করা, কৃত অন্যায়ের জন্য আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত হওয়া এবং ভবিষ্যতে অন্যায়-অনাচারে লিপ্ত না হওয়ার দৃঢ় অঙ্গীকার করা। আল্লাহর দরবারে অনুতপ্তচিত্তে অশ্রুপাত আমাদের পাপ মোচনের জন্য সহায়ক হতে পারে।
বিজ্ঞান এ প্রশ্নের জবাবে নীরব। জ্ঞান অর্জনের আর সব সূত্রই এ পর্যায়ে অকেজো। কিন্তু মহাগ্রন্থ আল কুরআন এ সম্পর্কে নীরব নয়। যেহেতু কুরআন আল্লাহপাকের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব, সেহেতু এ মহাগ্রন্থ সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হজরত রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, যেহেতু পবিত্র কুরআনই সর্বকালীন মানুষের মুক্তির চিরস্থায়ী মহাসনদ, তাই পবিত্র কুরআনেই রয়েছে এ প্রশ্নের জবাব।
পবিত্র কুরআন আমাদের সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় কেন আসে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভয়াবহ বন্যা, ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড় প্রভৃতি। কেন বারবার নেমে আসে ধ্বংস মানুষের জীবনে। এ পর্যায়ে আল কুরআনে সর্বপ্রথম যে নীতি নির্ধারণীর কথা বলা হয়েছে তা এই, ‘এবং (হে রাসূল) আপনার প্রতিপালক সে পর্যন্ত কোনো লোকালয় ধ্বংস করেন না যে পর্যন্ত না তার সদর স্থানে কোনো রাসূল প্রেরণ না করেন। যে সেই জনপদবাসীর নিকট আমার আয়াতসমূহ পাঠ করে, আর যেসব জনপদের অধিবাসীরা অত্যাচারী, আমি শুধু তাদেরই ধ্বংস করি।’ এতে এ কথাই প্রমাণিত হচ্ছে যে, যদি কোনো স্থানের মানুষ জুলুম-অত্যাচার, অন্যায়-অবিচারে লিপ্ত হয়, তাদের প্রতিই আপতিত হয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা, ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড় প্রভৃতি ধ্বংস নেমে আসে। আল কুরআনে এসব বিষয়ে আল্লাহর তরফ থেকে বারবার সতর্কবাণী উচ্চারণ করা হয়েছে কিন্তু কুরআন খুলে দেখার লোক নেই, সতর্ক হতেও কেউ রাজি নয়।
মূলত পৃথিবীর ইতিহাসে রয়েছে এর বহু প্রমাণ যে, আল্লাহতায়ালার নাফরমান জাতিগুলোকে তিনি জগতের বুকে অশান্তি সৃষ্টি করার শাস্তিস্বরূপ ধ্বংস করে দিয়েছেন চিরতরে। কুরআনে পূর্বের ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিসমূহের ঘটনাবলি বর্ণনা করেছেন, যেন অনাগত ভবিষ্যতের মানুষ এ ঘটনাবলির দ্বারা উপদেশ গ্রহণ করে। যারা তাদের অন্যায় আচরণের দরুণ আল্লাহর কোপগ্রস্ত হয়েছে আগামী দিনের মানুষ যেন তাদের অনুসরণ করে এমনিভাবে বিপদগ্রস্ত না হয়।
কুরআনে আল্লাহ ইরশাদ করেছেন : ‘তারা কি দেখে না যে তারা প্রতি বছর একবার অথবা দু’বার বিপদগ্রস্ত হয়, অতঃপর তারা তওবা করে না এবং উপদেশও গ্রহণ করে না।’ [সূরা আত-তওবা : ১২৬] এতে এ কথাই প্রমাণিত হয় যে, প্রত্যেক বছর দেশে যে বন্যা, মহামারী, ঝড়, তুফান, টর্নেডো এবং এমনি আরো বিপদাপদ আসে, এসব বিপদ দেয়ার উদ্দেশ্য হলো আমাদের পবিত্র করে তোলা। আমাদের তওবা করার সুযোগ দেয়া। মোট কথা, এর পেছনেও রয়েছে এক মহান উদ্দেশ্য। তা হলো, আমাদের সংশোধন। এতে রয়েছে আমাদের জন্য সতর্ক সঙ্কেত আর এ দুর্যোগ প্রকৃতির খেয়াল-খুশিমত নয়, বরং আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী আসে। তাই কুরআনে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন : ‘আল্লাহতায়ালার হুকুম ব্যতীত কোনো বিপদই আসে না। (অর্থাৎ সব বালা-মুসিবত বিপদাপদ একমাত্র সেই সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালার আদেশানুযায়ী এসে থাকে) এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে সে তার অন্তরকে পথ প্রদর্শন করে, আর আল্লাহ সব বিষয়ে মহাজ্ঞানী।’ [সূরা আল-তাগাবুন : ১১]
কুরআনে আল্লাহ আরো এরশাদ করেন : ‘মানুষের কর্মের পরিণতিস্বরূপ স্থলে ও সমুদ্রে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে, যাতে করে মানুষ ফিরে আসে, আল্লাহ তাদের কৃতকর্মের কিছুটা স্বাদ ভোগ করাতে চান।’ [সূরা আর-রুম : ৪১] অর্থাৎ মানুষের অন্যায় আচরণের কারণে আল্লাহর অবাধ্যতা এবং নাফরমানির দরুনই আজ পৃথিবীর সর্বত্র অশান্তি বিরাজ করছে এবং চতুর্দিকে বিপদের ঘনঘটা দেখা দিয়েছে। বস্তুত আমাদের জন্য এ বিপদও কল্যাণকর হতে পারে, যদি আমরা এর দ্বারা উপদেশ গ্রহণ করি এবং আমাদের অবস্থার পরিবর্তন করি। শুধু এভাবেই আমরা পরকালের আজাব থেকে পরিত্রাণ লাভ করতে পারি। আর আল্লাহও চান যেন আমরা ইহকাল ও পরকালের আজাব থেকে মুক্তি লাভ করি।
আল্লাহ ইরশাদ করেন : ‘যদি তোমরা সৎ কাজ করো তবে তা তোমাদেরই উপকারার্থে। এর ফল তোমরাই ভোগ করবে। পক্ষান্তরে যদি তোমরা অন্যায় কাজে লিপ্ত হও, তবে তার শাস্তিও তোমাদেরই ভোগ করতে হবে।’ [সূরা বনি ইসরাইল : ৭] অতএব, যখনই পৃথিবীতে ঝড়-তুফান, ঘূর্ণিবার্তা, বন্যা এবং এ ধরনের বিপদ আসে, তখনই পরকালের মুক্তিকামী মানুষ সাবধান হয়, অন্যায় পথ পরিত্যাগ করে ন্যায়পথের অনুগামী হয়। অন্যায়-অনাচার জুলুম-অত্যাচার পাক-পঙ্কিলতায় পূর্ণ জীবন, আল্লাহর নাফরমানি ও অবাধ্যতা এবং নির্লজ্জতা, অশ্লীলতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে নেমে আসে আসমানী যমিনি বালা মুসিবত, ভয়াবহ ঝড়-তুফান, টর্নেডো এবং বন্যা, দেখা দেয় দুর্ভিক্ষের কালো ছায়া, অগ্নিকাণ্ড, মহামারী, ভূমিকম্প আর ধ্বংস। তখন সর্বাগ্রে আমাদের একান্ত কর্তব্য হলো তওবা এস্তেগফারের পথ অšে¦ষণ করা, কৃত অন্যায়ের জন্য আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত হওয়া এবং ভবিষ্যতে অন্যায়-অনাচারে লিপ্ত না হওয়ার দৃঢ় অঙ্গীকার করা। আল্লাহর দরবারে অনুতপ্তচিত্তে অশ্রুপাত আমাদের পাপ মোচনের জন্য সহায়ক হতে পারে।
0 comments:
Thanks for Comment