LOW BACK PAIN কোমরের নিচে পীড়া

লক্ষণ ও উপসর্গ
১. কোমরের নিচে ব্যথা হওয়া, সম্ভবত তীব্র ব্যথা। এটা হঠাৎ করেও আসতে পারে, কিংবা ধীরে ধীরেও আস্তে পারে; এই ব্যথা এক নাগারে চলতে পারে কিংবা দিনের কোন একটা বিশেষ সময়ে হতে পারে কিংবা আপনি যখন কোন একটা নির্দিষ্ট দেহ ভঙ্গিমায় থাকেন তখনও হতে পারে; ব্যথাটা দেহের কোন নির্দিষ্ট অংশেও সীমাবদ্ধ থাকতে পারে কিংবা দেহের পেছনের অন্যান্য অংশেও হতে পারে।
২. পায়ে কিংবা নিতম্বে, বিশেষত শরীরের যেকোন এক পাশে অসাঢ়তা, জড়তা, টন টনে কিংবা তীব্র ব্যথা হওয়া।
৩. কাশি আসলে, হাচি দিলে কিংবা দেহ ঘোরানোর সময ব্যথার পরিমাণ বেড়ে ওঠা।

দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন যদি আপনি স্নায়ুবিক ক্ষতির নিম্নোক্ত লক্ষণগুলো দেখতে পান:
১. যেকোন ধরনের অসাঢ়তা কিংবা অবসাদগ্রস্ততা, বিশেষত আপনার যৌনাঙ্গে কিংবা পায়ুপথে অসাঢ়তা দেখা দিলে।
২. মল ত্যাগের নিয়ন্ত্রণে ব্যাঘাত ঘটলে|
৩. দুই পায়ে কিংবা এক পায়ে দুর্বলতা দেখা দিলে।

কী করা উচিত
১. যদি ব্যথার কারণে আপনার ঘুমাতে অসুবিধে হয়, সেক্ষেত্রে হাটুর নিচে এবং দুই হাটুর মাঝখানে বালিশ রেখে ঘুমোতে পারেন।
২. উল্টো হয়ে অর্থাৎ পেটের উপর ভর দিয়ে শোবেন না।
৩. এসিটামিনোফেন, এ্যাসপিরিন, কিংবা ইবুপ্রোফেণ সেবন করতে পারেন।
৪. এই ব্যথা শুরু হবার প্রথম দুইদিন পর্যন্ত ৫ থেকে ১০ মিনিট করে দিনে দুইবার বরফের খণ্ড কাপড়ে মুড়ে পীড়াদায়ক স্থানে চেপে ধরে রাখুন। দুই দিন পর গরম কাপড় বা হিটিং প্যাড নিয়ে সেখানে লাগান এবং উষন্ন জলে স্নান করুন।
৫. যদি গাড়ি চালাবার সময় আপনার এই ব্যথা হয় সেক্ষেত্রে আপনার পিঠের দিকের যে সামাণ্য ফাঁকা স্থান রয়েছে সেখানে একটা টাউয়েল কিংবা ছোট বালিশ রেখে দেখতে পারেন।

কখন ডাক্তার দেখাবেন
দ্রুত জরুরী চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করুন:
১. যদি আপনার পেছন দিকের এই ব্যথার সাথে স্নায়ুবিক ক্ষতির লক্ষণগুলোও দেখা যায়, যেমন মল বা মূত্র নিয়ন্ত্রণে অপারগতা।
২. যদি এই ব্যথা অত্যন্ত তীব্র কিংবা আপনার দৈনন্দিন কাজ কর্মে সমস্যা হয়।
৩. যদি ব্যথাটা কয়েক দিনেও না যায় কিংবা ফিরে ফিরে আসতে থাকে।

কীভাবে প্রতিরোধ করবেন
১. নিয়মিত ব্যায়াম করুন। সেইসব ব্যায়ামগুলো করবেন না যেগুলোতে আপনার দেহকে মোচড়া মুচড়ি করতে হয় অর্থাৎ এদিক ওদিক বাঁকাতে হয়, কিংবা যে ব্যায়ামগুলো আপনার এই ব্যথাকে আরও বাড়িয়ে দেয় সেগুলো বাদ দেবেন। তবে সাঁতার কাটা, হাঁটা এগুলো আদর্শ ব্যায়াম হিসেবে চালিয়ে যেতে পারেন।
২. যেসব ব্যায়াম করলে আপনার উদরের পেশিগুলো মজবুত হয় সেগুলো করুন (বিশেষত হাটা ভাজ করে উঠা বসা)। একই সাথে, আপনার মেরুদণ্ডের সাথে সমান্তরালে যে পেশিগুলো রয়েছে সেগুলোকে আরও প্রসারিত করুন (যেমন চিত হয় সমান জায়গায় শুয়ে পড়ুন, এবং একটা হাটু ভাজ করে বুকের দিকে টেনে আনুন, তারপর আরেকটা হাটু টেনে বুকের উপর আনুন এবং আগের হাটু টিকে আগের অবþহানে পাঠিয়ে দিন।)।জ্ঞের
৩. যোগ ব্যায়ামের চেষ্টা করুন। যারা এই সমস্যায় ভুগেন এবং ডাক্তারেরাও পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে যোগ ব্যায়াম এই রোগের নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকর। তাছাড়া যোগ ব্যায়াম আপনাকে আরাম দেয় এবং আপনার মানসিক এবং শারীরিক চাপ হন্সাস করে।
৪. আরামদায়ক এবং কম হিলওয়ালা জুতো পরুন।
৫. যদি আপনি এমন কোন কাজ করেন যে কাজ করতে অনেক্ষণ একনাগাড়ে বসে থাকতে হয় সেক্ষেত্রে আপনার চেয়ারের সাথে আপনার দৈহিক গড়ন অনুযায়ী ফ্লোর থেকে সঠিক উচ্চতা থাকে এবং আপনার পিঠ এবং পেছনের অংশকে যথেষ্ট সাপোর্ট দিতে পারে। প্রতি আধঘন্টা অন্তর অন্তর কয়েক মিনিট হাটা চলা করুন।
৬. কোন কিছু উঠাবার সময় শরীর মোচড়াবেন না বা এদিক ওদিক ঘুরবেন না। এবং উত্তোলনের সময় পায়ের উপর চাপ দিন আপনার পিঠে নয়। এবং প্রতিবারে যতো কম ওজন সম্ভব উত্তোলন করুন।
৭. আপনার দৈহিক ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ভুড়ি থাকলে সেটা নিচের দিকের মেরুদণ্ডের উপর চাপ ফেলে।

সূত্রঃ http://www.doctor.bd24x7.com/

0 comments:

Thanks for Comment

Copyright © 2013 MEDIA INFO