চুল পড়া রোধে টিপস্
আমাদের প্রিয় চুলগুলো যখন পড়তে শুরু করে তখন আমাদের কষ্টের আর শেষ থাকে না। চুলবিহীন নিজের মুখ কল্পনা করতে কারও ভালো না লাগারই কথা।
তবে চুল পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। সাধারণভাবেই প্রতিদিন কিছু না কিছু চুল ঝরে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন একশ’টা চুল পড়া স্বাভাবিক।
চুল পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মাথায় নতুন চুলও গজায়। তবে যদি চুল যদি বেশি পরিমাণে পড়ে, অর্থাৎ চুল পড়ার হার যদি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি হয় তাহলে তা শঙ্কার কথা। কাজেই চুল বেশি পড়লে বিষয়টিতে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে।
গরমে চুল পড়ার হার তুলনামূলক একটু বাড়ে। গ্রীষ্মকালে মাথার ত্বকের ধরণ পরিবর্তন হয়। ত্বকের গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ হয়। ফলে চুল তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণেও অনেক সময় চুল পড়ে। এ ছাড়া চুলের গোড়ার ঘাম না শুকালে, অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার খেলে, চুলের ধরণের সঙ্গে মানানসই নয় এমন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করলেও সাধারণত চুল পড়ে।
পুরুষদের যেভাবে টাক পড়ে সেভাবে চুল না ঝরে পড়লেও নারীদের চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা খুব বেশি। অল্প বয়সে নারীদের চুল না ঝরে পড়লেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যার সম্মুখীন হন নারীরা।
নানা কারণে মেয়েদের চুল পড়তে পারে যেমন- হরমোন, সন্তান জন্মদান, রজঃনিবৃত্তি ইত্যাদি। তবে যে কারণেই চুল ঝরে পড়ুক তার চিকিৎসা প্রয়োজন। কেননা এতে সৌন্দর্যহানি ঘটে। মহিলাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় চুলের নানা ফ্যাশন যেমন- রিবন্ডিং, স্টেইট, পার্ম, ডাই, ব্লোয়ার ড্রাই ইত্যাদি করার কারণেও চুল ঝরে পড়তে পারে। তাই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এ ছাড়া অনেকে নিজে থেকে ওজন কমানোর জন্য কম খান কিংবা পুষ্টিকর খাবার খান না। এতে করেও চুলের ক্ষতি হয়।
চুল পড়া রোধ করতে প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে কী কারণে আপনার চুল পড়ছে। কারণটা খুঁজে বের করে আগে সেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। তখন আপনা-আপনিই চুল পড়া বন্ধ হবে।
নানা কারণেই আমাদের মাথার চুল পড়ে। চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো না হলে, অ্যানিমিয়া থাকলে, মানসিক স্ট্রেস-টেনশন, চুলে খুশকি, বড় কোন অসুখে ভুগলে, বেশি মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেলে ইত্যাদি নানা কারণেই চুল ঝরে পড়ে। ফলে মাথার চুল পাতলা হয়ে যায়।
চুল পড়া রোধ করতে হলে অবশ্যই এর কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা করা প্রয়োজন। নিজে নিজে চিকিৎসা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
নিচে চুল পড়া রোধে ১০টি টিপস দেওয়া হলো-
১।ধুমপানধূমপান,ধুমপান ত্যাগ করুন। ধুমপানের কারণে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়,তাই চুল বৃদ্ধি করতে চাইলে ধুমপান করবেন না।
২।,অতিরিক্ত চা বা কফি পান করবেন না। চা বা কফিতে ক্যাফেইন থাকে যা সকল প্রকার চুল ও স্কিনের সমস্যার জন্য দায়ী, তাই মাত্রাতিরিক্ত চা, কফি পান করবেন না।
৩।,অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় শরীরে আয়রনের অভাবে চুল পড়ে। আয়রনের অভাবে আমাদের দেহে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা কমে যায়, যা আমাদের চুলের গোড়ার (হেয়ার ফলিকল) জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি তাই হয়, তাহলে প্রচুর পরিমাণে লাল শাক, কচুশাক খেতে হবে।
৪। ভিটামিন-ভিটামিন-সি, ই এবং বিটা ক্যারোটিন চুল পড়া রোধে ও নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী, তাই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সমৃদ্ধ ফলমূল ও শাকসবজি খান। ভিটামিন-ই চুলের ত্বকে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয় যা চুল বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে এবং শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে এটি চুল পড়া রোধ করে।
ভিটামিন-ই এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেল অপসারণের মাধ্যমে স্কিনকে সুরক্ষিত রাখে। নাশপাতি, বাদাম ও জলপাই তেলে প্রচুর ভিটামিন-ই থাকে। অন্যদিকে ভিটামিনের সর্বোৎকৃষ্ট প্রাকৃতিক উৎস হচ্ছে গম, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সবজি, ডিম প্রভৃতি।
৫।,স্বাস্থ্যকর খাবার বা প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার শুধু যে চুল শক্ত করে তা নয়, চুল গজাতেও সহায়তা করে। এছাড়া অতিরিক্ত চিনি ও চর্বিযুক্ত খাবারও পরিহার করুন।
৬। ওমেগা- ওমেগা- থ্রি (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড চুল পড়া রোধে খুব কার্যকর। সাধারণত বিশেষ ধরনের মাছে এই উপাদানটি থাকে। তবে আমাদের দেশে এসব স্যামন, ম্যাকারেল মাছ পাওয়া যায় না। প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-থ্রি (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড তিসির তেলে পাওয়া যায়। আর এই তেল পাবেন স্থানীয় বাজারেই। মনে রাখবেন, এই তিসির তেল কিন্তু মাথায় লাগানোর জন্য নয় অথবা রান্নায় ব্যবহার করার জন্যও নয়। প্রতিদিন ২ চা চামচ তিসির তেল সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। তাহলেই আপনার চুল পড়া অনেক কমে আসতে পারে। এছাড়া প্রচলিত চুল সুরক্ষার তেল ব্যবহার করার মাধ্যমেও চুলের প্রতি যতœশীল হোন।
৮। -চুলে অপ্রয়োজনীয় ঘষা-মাঝা, অতিরিক্ত আচরানো পরিহার করুন। গরম পানি, ড্রায়ার বা এমন কিছু ব্যবহার করবেন না যা চুলে অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে।
৯। -চুলকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।
১০।,পর্যাপ্ত ঘুমান এবং বিশ্রাম নিন, কেননা ঘুম ও বিশ্রাম নতুন চুল গজানো ও বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়তা করে।
১১।,মেডিটেশন এবং যোগব্যায়াম মানসিক চাপ কমায়, যা চুলের জন্যও ভালো।
১২।,কুমড়োর বিচি ফাইটোস্ট্রোজেনের উৎস, যা চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। এক চা-চামচ করে সপ্তাহে তিন চামচ এক্ষেত্রে কার্যকর।
১৩।,কন্ডিশনার কেবল ত্বকের ওপর নয়, চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে ১ থেকে ২ মিনিট রেখে পর্যাপ্ত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
১৪।, চিরুনির ফাঁক হওয়া উচিত বড়। ঘন দাঁতওয়ালা চিরুনি ব্যবহার করা উচিত নয়। ভেজা চুলে চিরুনি দেবেন না।
১৫।,কালারিং, সোজাকরণ ইত্যাদি একসঙ্গে করা উচিত নয়।
১৬।,উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত জাঙ্ক ফুডে চুল শক্ত হলেও ভঙ্গুর হয়ে যায়।
১৭।, চুলকে কিছু বিশ্রাম দেয়া উচিত। তাকে হাওয়ায় উড়তে দিন ইচ্ছামতো।
১৮।,গরম পানিতে গোসল ত্যাগ করা উচিত।
১৯।,প্রচুর পানি পান করুন।
২০।,নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
২১।,চুল ট্রিম করুন।
২২।, হেয়ার ম্যাসাজ করুন।
২৩।,জেনেটিক, হরমোন পরিবর্তন বা মা হওয়ার পর চুল পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২৪।, গোড়া শক্ত করে সব সময় চুল বাঁধবেন না।
২৫।,চুল পড়তে থাকলে চুলে তেল দেয়া বন্ধ করুন।
২৬।,আয়রন ট্যাবলেট গ্রহণ করুন, সবুজ এবং হলুদ সবজি ও ফল বেশি করে খান।
২৭।,প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিমের সাদা অংশ, ভেড়ার মাংস, সয়াবিন, পনির, দুধ এবং দই চুলের জন্য উপকারী।
২৮।,চুলে হিট দিলে তা চুলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই হিট বন্ধ করুন।
২৯।,সূর্যের তাপ পরিহার করুন।
৩০।,মাথার চামড়ার ওপর নরম ম্যাসাজ চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল বাড়ায়, যা চুলের জন্য ভালো।
৩১।,চুল অতিরিক্ত আঁচড়াবেন না।
৩২।,চিকন হওয়ার জন্য অতিরিক্ত ডায়েট কন্ট্রোল চুলের জন্য ক্ষতিকর।
তবে চুল পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। সাধারণভাবেই প্রতিদিন কিছু না কিছু চুল ঝরে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন একশ’টা চুল পড়া স্বাভাবিক।
চুল পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মাথায় নতুন চুলও গজায়। তবে যদি চুল যদি বেশি পরিমাণে পড়ে, অর্থাৎ চুল পড়ার হার যদি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি হয় তাহলে তা শঙ্কার কথা। কাজেই চুল বেশি পড়লে বিষয়টিতে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে।
গরমে চুল পড়ার হার তুলনামূলক একটু বাড়ে। গ্রীষ্মকালে মাথার ত্বকের ধরণ পরিবর্তন হয়। ত্বকের গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ হয়। ফলে চুল তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণেও অনেক সময় চুল পড়ে। এ ছাড়া চুলের গোড়ার ঘাম না শুকালে, অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার খেলে, চুলের ধরণের সঙ্গে মানানসই নয় এমন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করলেও সাধারণত চুল পড়ে।
পুরুষদের যেভাবে টাক পড়ে সেভাবে চুল না ঝরে পড়লেও নারীদের চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা খুব বেশি। অল্প বয়সে নারীদের চুল না ঝরে পড়লেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যার সম্মুখীন হন নারীরা।
নানা কারণে মেয়েদের চুল পড়তে পারে যেমন- হরমোন, সন্তান জন্মদান, রজঃনিবৃত্তি ইত্যাদি। তবে যে কারণেই চুল ঝরে পড়ুক তার চিকিৎসা প্রয়োজন। কেননা এতে সৌন্দর্যহানি ঘটে। মহিলাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় চুলের নানা ফ্যাশন যেমন- রিবন্ডিং, স্টেইট, পার্ম, ডাই, ব্লোয়ার ড্রাই ইত্যাদি করার কারণেও চুল ঝরে পড়তে পারে। তাই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এ ছাড়া অনেকে নিজে থেকে ওজন কমানোর জন্য কম খান কিংবা পুষ্টিকর খাবার খান না। এতে করেও চুলের ক্ষতি হয়।
চুল পড়া রোধ করতে প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে কী কারণে আপনার চুল পড়ছে। কারণটা খুঁজে বের করে আগে সেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। তখন আপনা-আপনিই চুল পড়া বন্ধ হবে।
নানা কারণেই আমাদের মাথার চুল পড়ে। চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো না হলে, অ্যানিমিয়া থাকলে, মানসিক স্ট্রেস-টেনশন, চুলে খুশকি, বড় কোন অসুখে ভুগলে, বেশি মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেলে ইত্যাদি নানা কারণেই চুল ঝরে পড়ে। ফলে মাথার চুল পাতলা হয়ে যায়।
চুল পড়া রোধ করতে হলে অবশ্যই এর কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা করা প্রয়োজন। নিজে নিজে চিকিৎসা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
নিচে চুল পড়া রোধে ১০টি টিপস দেওয়া হলো-
১।ধুমপানধূমপান,ধুমপান ত্যাগ করুন। ধুমপানের কারণে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়,তাই চুল বৃদ্ধি করতে চাইলে ধুমপান করবেন না।
২।,অতিরিক্ত চা বা কফি পান করবেন না। চা বা কফিতে ক্যাফেইন থাকে যা সকল প্রকার চুল ও স্কিনের সমস্যার জন্য দায়ী, তাই মাত্রাতিরিক্ত চা, কফি পান করবেন না।
৩।,অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় শরীরে আয়রনের অভাবে চুল পড়ে। আয়রনের অভাবে আমাদের দেহে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা কমে যায়, যা আমাদের চুলের গোড়ার (হেয়ার ফলিকল) জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি তাই হয়, তাহলে প্রচুর পরিমাণে লাল শাক, কচুশাক খেতে হবে।
৪। ভিটামিন-ভিটামিন-সি, ই এবং বিটা ক্যারোটিন চুল পড়া রোধে ও নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী, তাই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সমৃদ্ধ ফলমূল ও শাকসবজি খান। ভিটামিন-ই চুলের ত্বকে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয় যা চুল বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে এবং শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে এটি চুল পড়া রোধ করে।
ভিটামিন-ই এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেল অপসারণের মাধ্যমে স্কিনকে সুরক্ষিত রাখে। নাশপাতি, বাদাম ও জলপাই তেলে প্রচুর ভিটামিন-ই থাকে। অন্যদিকে ভিটামিনের সর্বোৎকৃষ্ট প্রাকৃতিক উৎস হচ্ছে গম, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সবজি, ডিম প্রভৃতি।
৫।,স্বাস্থ্যকর খাবার বা প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার শুধু যে চুল শক্ত করে তা নয়, চুল গজাতেও সহায়তা করে। এছাড়া অতিরিক্ত চিনি ও চর্বিযুক্ত খাবারও পরিহার করুন।
৬। ওমেগা- ওমেগা- থ্রি (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড চুল পড়া রোধে খুব কার্যকর। সাধারণত বিশেষ ধরনের মাছে এই উপাদানটি থাকে। তবে আমাদের দেশে এসব স্যামন, ম্যাকারেল মাছ পাওয়া যায় না। প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-থ্রি (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড তিসির তেলে পাওয়া যায়। আর এই তেল পাবেন স্থানীয় বাজারেই। মনে রাখবেন, এই তিসির তেল কিন্তু মাথায় লাগানোর জন্য নয় অথবা রান্নায় ব্যবহার করার জন্যও নয়। প্রতিদিন ২ চা চামচ তিসির তেল সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। তাহলেই আপনার চুল পড়া অনেক কমে আসতে পারে। এছাড়া প্রচলিত চুল সুরক্ষার তেল ব্যবহার করার মাধ্যমেও চুলের প্রতি যতœশীল হোন।
৮। -চুলে অপ্রয়োজনীয় ঘষা-মাঝা, অতিরিক্ত আচরানো পরিহার করুন। গরম পানি, ড্রায়ার বা এমন কিছু ব্যবহার করবেন না যা চুলে অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে।
৯। -চুলকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।
১০।,পর্যাপ্ত ঘুমান এবং বিশ্রাম নিন, কেননা ঘুম ও বিশ্রাম নতুন চুল গজানো ও বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়তা করে।
১১।,মেডিটেশন এবং যোগব্যায়াম মানসিক চাপ কমায়, যা চুলের জন্যও ভালো।
১২।,কুমড়োর বিচি ফাইটোস্ট্রোজেনের উৎস, যা চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। এক চা-চামচ করে সপ্তাহে তিন চামচ এক্ষেত্রে কার্যকর।
১৩।,কন্ডিশনার কেবল ত্বকের ওপর নয়, চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে ১ থেকে ২ মিনিট রেখে পর্যাপ্ত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
১৪।, চিরুনির ফাঁক হওয়া উচিত বড়। ঘন দাঁতওয়ালা চিরুনি ব্যবহার করা উচিত নয়। ভেজা চুলে চিরুনি দেবেন না।
১৫।,কালারিং, সোজাকরণ ইত্যাদি একসঙ্গে করা উচিত নয়।
১৬।,উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত জাঙ্ক ফুডে চুল শক্ত হলেও ভঙ্গুর হয়ে যায়।
১৭।, চুলকে কিছু বিশ্রাম দেয়া উচিত। তাকে হাওয়ায় উড়তে দিন ইচ্ছামতো।
১৮।,গরম পানিতে গোসল ত্যাগ করা উচিত।
১৯।,প্রচুর পানি পান করুন।
২০।,নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
২১।,চুল ট্রিম করুন।
২২।, হেয়ার ম্যাসাজ করুন।
২৩।,জেনেটিক, হরমোন পরিবর্তন বা মা হওয়ার পর চুল পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২৪।, গোড়া শক্ত করে সব সময় চুল বাঁধবেন না।
২৫।,চুল পড়তে থাকলে চুলে তেল দেয়া বন্ধ করুন।
২৬।,আয়রন ট্যাবলেট গ্রহণ করুন, সবুজ এবং হলুদ সবজি ও ফল বেশি করে খান।
২৭।,প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিমের সাদা অংশ, ভেড়ার মাংস, সয়াবিন, পনির, দুধ এবং দই চুলের জন্য উপকারী।
২৮।,চুলে হিট দিলে তা চুলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই হিট বন্ধ করুন।
২৯।,সূর্যের তাপ পরিহার করুন।
৩০।,মাথার চামড়ার ওপর নরম ম্যাসাজ চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল বাড়ায়, যা চুলের জন্য ভালো।
৩১।,চুল অতিরিক্ত আঁচড়াবেন না।
৩২।,চিকন হওয়ার জন্য অতিরিক্ত ডায়েট কন্ট্রোল চুলের জন্য ক্ষতিকর।
0 comments:
Thanks for Comment