উপমহাদেশের প্রথম সুপারনোভার খোঁজ মিলেছে কাশ্মীরে
সম্প্রতি ভারতীয় গবেষকরা দাবি করেছেন, উপমহাদেশের প্রথম সুপারনোভার খোঁজ মিলেছে কাশ্মীরে। শ্রীনগরের মাদানি মসজিদের দেয়ালচিত্র বা মুর্যাল থেকেই উপমহাদেশের সুপারনোভা দেখার প্রথম নিশ্চিত রেকর্ড পেয়ে গেছেন তারা। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়া-এর।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ভারতের হোমি ভবন সেন্টার ফর সায়েন্স এডুকেশন (এইচবিসিএসই), টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ (টিআইএফআর) এবং ইউনিভার্সিটি অফ কাশ্মীর-এর গবেষকরা শ্রীনগরের মাদানি মসজিদের দরজায় আঁকা মুর্যালে সুপারনোভার রেকর্ড পেয়েছেন।
মুর্যালে দেখা গেছে, ড্রাগনের মাথার মতো দেখতে সুপারনোভাটি। আর এটি স্যাজিটেরাস নক্ষত্রপুঞ্জের দিকটিই নির্দেশ করে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, দীর্ঘসময়ের ব্যবধানে আসল মুর্যালটি ধ্বংস হয়ে গেলেও এটির বর্ণনা এখনও ইউনিভার্সিটি অফ কাশ্মীরের সেন্ট্রাল এশিয়ান স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টে পাওয়া যায়।
গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, সংস্কৃতসহ অনেক তথ্য ঘেঁটেও এতোদিন উপমহাদেশে সুপারনোভার কোনো রেকর্ড পাওয়া যায়নি।
গবেষণার ফল বলছে, ১৬০৪ সালে স্যাজিটেরাস নক্ষত্রপুঞ্জে এরকম সুপারনোভার সৃষ্টি হয়েছিলো। আর শ্রীনগরের মাদানি মসজিদটি তৈরি হয়েছিলো তারও দেড়শ বছর আগে মুঘল আমলে। তবে সুপারনোভার এই ঘটনাটির মুর্যাল তৈরিতে গ্লেজ দেওয়া টাইলস ব্যবহার করা হয়েছিলো যাতে সুপারনোভার সময়টাকে ধরে রাখা যায়।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, মুঘল সম্রাট শাহজাহান যখন ছোটো ছিলেন তখন এই সুপারনোভা প্রত্যক্ষ করেছিলেন। আর মাদানি মসজিদটি তারই তৈরি। গবেষকদের মতে, সম্রাট শাহজাহানই হয়তো এ মুর্যাল মসজিদটিতে যোগ করেছিলেন।
উল্লেখ্য, সুপারনোভা এক ধরনের নাক্ষত্রিক বিস্ফোরণ। এই বিস্ফোরণের ফলে তৈরি হওয়া আলোর উজ্জ্বলতা একটি সম্পূর্ণ গ্যালাক্সির উজ্জ্বলতাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। বিস্ফোরণে নক্ষত্র অভ্যন্তরে নিউক্লিয়ার ফিউশান বিক্রিয়া চলতে থাকে। বিক্রিয়ার ফলে সাদা বামন নক্ষত্র উত্তপ্ত হয়ে প্রসারিত হতে চেষ্টা করে। অন্যদিকে নক্ষত্রগুলোর নিজস্ব মহাকর্ষ বল এদের বহির্ভাগকে টেনে কেন্দ্রের দিকে নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু নক্ষত্রের ভেতরে নিউক্লিয়ার ফিউশন চলার মতো আর কোন জ্বালানি থাকে না তখন এটি প্রচণ্ড বেগে নিজের মহাকর্ষের টানে চুপষে যেতে থাকে ফলে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের মাধ্যমে এর বহিরাবরণের পদার্থগুলোকে বের করে দেয়। এ বিস্ফোরণই হলো সুপারনোভা।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ভারতের হোমি ভবন সেন্টার ফর সায়েন্স এডুকেশন (এইচবিসিএসই), টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ (টিআইএফআর) এবং ইউনিভার্সিটি অফ কাশ্মীর-এর গবেষকরা শ্রীনগরের মাদানি মসজিদের দরজায় আঁকা মুর্যালে সুপারনোভার রেকর্ড পেয়েছেন।
মুর্যালে দেখা গেছে, ড্রাগনের মাথার মতো দেখতে সুপারনোভাটি। আর এটি স্যাজিটেরাস নক্ষত্রপুঞ্জের দিকটিই নির্দেশ করে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, দীর্ঘসময়ের ব্যবধানে আসল মুর্যালটি ধ্বংস হয়ে গেলেও এটির বর্ণনা এখনও ইউনিভার্সিটি অফ কাশ্মীরের সেন্ট্রাল এশিয়ান স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টে পাওয়া যায়।
গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, সংস্কৃতসহ অনেক তথ্য ঘেঁটেও এতোদিন উপমহাদেশে সুপারনোভার কোনো রেকর্ড পাওয়া যায়নি।
গবেষণার ফল বলছে, ১৬০৪ সালে স্যাজিটেরাস নক্ষত্রপুঞ্জে এরকম সুপারনোভার সৃষ্টি হয়েছিলো। আর শ্রীনগরের মাদানি মসজিদটি তৈরি হয়েছিলো তারও দেড়শ বছর আগে মুঘল আমলে। তবে সুপারনোভার এই ঘটনাটির মুর্যাল তৈরিতে গ্লেজ দেওয়া টাইলস ব্যবহার করা হয়েছিলো যাতে সুপারনোভার সময়টাকে ধরে রাখা যায়।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, মুঘল সম্রাট শাহজাহান যখন ছোটো ছিলেন তখন এই সুপারনোভা প্রত্যক্ষ করেছিলেন। আর মাদানি মসজিদটি তারই তৈরি। গবেষকদের মতে, সম্রাট শাহজাহানই হয়তো এ মুর্যাল মসজিদটিতে যোগ করেছিলেন।
উল্লেখ্য, সুপারনোভা এক ধরনের নাক্ষত্রিক বিস্ফোরণ। এই বিস্ফোরণের ফলে তৈরি হওয়া আলোর উজ্জ্বলতা একটি সম্পূর্ণ গ্যালাক্সির উজ্জ্বলতাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। বিস্ফোরণে নক্ষত্র অভ্যন্তরে নিউক্লিয়ার ফিউশান বিক্রিয়া চলতে থাকে। বিক্রিয়ার ফলে সাদা বামন নক্ষত্র উত্তপ্ত হয়ে প্রসারিত হতে চেষ্টা করে। অন্যদিকে নক্ষত্রগুলোর নিজস্ব মহাকর্ষ বল এদের বহির্ভাগকে টেনে কেন্দ্রের দিকে নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু নক্ষত্রের ভেতরে নিউক্লিয়ার ফিউশন চলার মতো আর কোন জ্বালানি থাকে না তখন এটি প্রচণ্ড বেগে নিজের মহাকর্ষের টানে চুপষে যেতে থাকে ফলে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের মাধ্যমে এর বহিরাবরণের পদার্থগুলোকে বের করে দেয়। এ বিস্ফোরণই হলো সুপারনোভা।




0 comments:
Thanks for Comment