ব্যক্তিগত অর্থনীতির ভিত সুদৃঢ় করার ১১টি অব্যর্থ নিয়ম
বর্তমান সমাজ পরিস্থিতিতে নিজের একটি শক্ত অর্থনৈতিক অবস্থান তৈরি করে নেওয়া বেশ কঠিন। এজন্য আপনাকে পুঁজিকৃত অর্থের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয়ের দিকে তীক্ষ্ম নজর দিতে হবে। বিষয় দুটি হলো ‘সঞ্চয়’ এবং ‘বিনিয়োগ’। এর সাথে আরও কিছু ব্যাপারের সমন্বয় সাধন করলে
আপনি দারুণভাবে অর্থনৈতিক সাফল্য লাভ করবেন।
নিচে এরকম ১১টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি আলোকপাত করা হলো।
১. একটি সেভিংস আ্যকাউন্টে কমপক্ষে তিন মাসের খরচ আগেভাগে জমা করে রাখুন।
এটা কেবল শুরুর দিকের একটি ধাপ। আপনার যদি নিজের ব্যবসা থাকে তবে সেই ব্যবসাক্ষেত্র বাড়ানোর চেষ্টা করুন। নিজের মেধাশক্তি কাজে লাগিয়ে একেবারে ব্যর্থ কোম্পানিকেও আপনি সাফল্যের মূল ধারায় আনতে পারেন। অনেক অর্থনীতিবিদের মতে যেকোন দুর্যোগ সামলাতে ৬-৯ মাসের মত প্রাত্যহিক খরচ জমা করে রাখা একটি ভালো পদক্ষেপ। এত বেশি পরিমাণ অর্থ জমা করার সামর্থ না থাকলে অন্তত ৩ মাসের খরচ আলাদা করে রাখুন।
২. আপনার প্রাত্যহিক খরচের পরিমাণকে ২৫ গুণ বৃদ্ধি করে দেখুন।
অবসর গ্রহণের পর ঠিক এই সমপরিমাণ অর্থই আপনার প্রয়োজন হবে। তাই আগে থেকেই আপনার আয় আনুযায়ী অবসরের জন্য সঞ্চয় করতে থাকুন।
৩. আপনার বেতনের কমপক্ষে ১০% অর্থ নিয়মিত জমা রাখতে চেষ্টা করুন। তরুণ বয়স থেকেই এ অভ্যাসটি গড়ে তুলুন। নিয়মিতভাবে অর্থ সঞ্চয় করলে ভবিষ্যতে তা পরিমাণে অনেক বেশি হয়ে দাঁড়াবে। মনে রাখবেন, বিন্দু বিন্দু জলকণা থেকেই কিন্তু সিন্ধু হয়।
৪. আপনার প্রতিষ্ঠান যেসব সুযোগ-সুবিধা দেবে তার সদ্যবহার করুন।
যদি আপনি একজন সরকারী কর্মচারী হন তবে পেনশন সহ আরো অনেক সুবিধা আপনি পেয়ে থাকবেন। তাছাড়া আজকাল বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও কর্মীদের জন্য চিকিৎসা ভাতা থেকে শুরু করে বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। কখনই বিনয়ের খাতিরে এসব সুবিধা নেয়া থেকে বিরত থাকবেন না।
৫. আপনার সন্তানের শিক্ষা ব্যয় বহন করার জন্য একটি সেভিংস আ্যকাউন্ট খুলুন। সন্তানের জন্মের পরপরই তার শিক্ষা খরচের ব্যাপারটি মাথায় রেখে একটি সেভিংস আ্যকাউন্ট খুলে ফেলুন। এতে করে আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত থাকবে।
৬. অবসরের জন্য আগেভাগেই অর্থনৈতিক পরিকল্পনা করে রাখুন।
প্রচলিত রিটায়ারমেন্ট পলিসির সঠিক ব্যবহার করুন। কর্মজীবনের শুরু থেকেই অবসর পরবর্তী অবস্থা সামলাতে প্রস্তুতি নিন।
৭. গৃহস্থালি ব্যয়ের পরিমাণ মাসিক আয়ের ২৮%-৩৩% এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখুন।
ঘর-গৃহস্থালির যাবতীয় খরচ এই বাজেটের মধ্যেই রাখুন। কখনই বাজেট অতিক্রম করে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করবেন না। তাহলে সেটা আপনার সঞ্চয়ের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
৮. আপনার হোম মেইন্টেইনেন্স খরচ প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করুন।
একটু একটু করে অপ্রয়োজনীয় খরচ গুলো বাদ দিন। তাছাড়া আপনার বাড়ী যদি কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে বন্ধক দেয়া থাকে তবে বন্ধকী অর্থ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিশোধ করার চেষ্টা করুন।
৯. শেয়ার বাজার,বন্ড ইত্যাদিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করুন।
সবসময় শেয়ার বাজারের লেনদেনের দিকে তীক্ষ্ম নজর রাখুন। তা নাহলে ভুল পদ্ধতি বা খাতে বিনিয়োগ করে আপনি আপনার কষ্টার্জিত অর্থ খুঁইয়ে বসতে পারেন।
১০. যেসব ব্যবসাক্ষেত্র সম্পর্কে আপনার ভালো ধারণা নেই সেখানে বিনিয়োগ করা থেকে বিরত থাকুন।
কখনই মানুষের মিষ্টি কথায় প্রলোভিত হয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনি যদি কোন বিনিয়োগ খাত সম্পর্কে সন্দিহান থাকেন তবে অতি সত্ত্বর সেখান থেকে সরে আসুন।
১১. সকল অর্থনৈতিক পলিসির ক্ষেত্রে উচ্চ সুদের হার এড়িয়ে চলুন।
সবসময় সকল লেনদেনের ক্ষেত্রে আপনার জন্য উপযুক্ত পলিসি নির্বাচন করুন। একজন বিনিয়োগকারী হিসবে চড়া সুদের যেসব পলিস আছে সেগুলোতে বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।
- See more at: http://finance.priyo.com/node/1537#sthash.eoL1nHlF.dpuf
আপনি দারুণভাবে অর্থনৈতিক সাফল্য লাভ করবেন।
নিচে এরকম ১১টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি আলোকপাত করা হলো।
১. একটি সেভিংস আ্যকাউন্টে কমপক্ষে তিন মাসের খরচ আগেভাগে জমা করে রাখুন।
এটা কেবল শুরুর দিকের একটি ধাপ। আপনার যদি নিজের ব্যবসা থাকে তবে সেই ব্যবসাক্ষেত্র বাড়ানোর চেষ্টা করুন। নিজের মেধাশক্তি কাজে লাগিয়ে একেবারে ব্যর্থ কোম্পানিকেও আপনি সাফল্যের মূল ধারায় আনতে পারেন। অনেক অর্থনীতিবিদের মতে যেকোন দুর্যোগ সামলাতে ৬-৯ মাসের মত প্রাত্যহিক খরচ জমা করে রাখা একটি ভালো পদক্ষেপ। এত বেশি পরিমাণ অর্থ জমা করার সামর্থ না থাকলে অন্তত ৩ মাসের খরচ আলাদা করে রাখুন।
২. আপনার প্রাত্যহিক খরচের পরিমাণকে ২৫ গুণ বৃদ্ধি করে দেখুন।
অবসর গ্রহণের পর ঠিক এই সমপরিমাণ অর্থই আপনার প্রয়োজন হবে। তাই আগে থেকেই আপনার আয় আনুযায়ী অবসরের জন্য সঞ্চয় করতে থাকুন।
৩. আপনার বেতনের কমপক্ষে ১০% অর্থ নিয়মিত জমা রাখতে চেষ্টা করুন। তরুণ বয়স থেকেই এ অভ্যাসটি গড়ে তুলুন। নিয়মিতভাবে অর্থ সঞ্চয় করলে ভবিষ্যতে তা পরিমাণে অনেক বেশি হয়ে দাঁড়াবে। মনে রাখবেন, বিন্দু বিন্দু জলকণা থেকেই কিন্তু সিন্ধু হয়।
৪. আপনার প্রতিষ্ঠান যেসব সুযোগ-সুবিধা দেবে তার সদ্যবহার করুন।
যদি আপনি একজন সরকারী কর্মচারী হন তবে পেনশন সহ আরো অনেক সুবিধা আপনি পেয়ে থাকবেন। তাছাড়া আজকাল বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও কর্মীদের জন্য চিকিৎসা ভাতা থেকে শুরু করে বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। কখনই বিনয়ের খাতিরে এসব সুবিধা নেয়া থেকে বিরত থাকবেন না।
৫. আপনার সন্তানের শিক্ষা ব্যয় বহন করার জন্য একটি সেভিংস আ্যকাউন্ট খুলুন। সন্তানের জন্মের পরপরই তার শিক্ষা খরচের ব্যাপারটি মাথায় রেখে একটি সেভিংস আ্যকাউন্ট খুলে ফেলুন। এতে করে আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত থাকবে।
৬. অবসরের জন্য আগেভাগেই অর্থনৈতিক পরিকল্পনা করে রাখুন।
প্রচলিত রিটায়ারমেন্ট পলিসির সঠিক ব্যবহার করুন। কর্মজীবনের শুরু থেকেই অবসর পরবর্তী অবস্থা সামলাতে প্রস্তুতি নিন।
৭. গৃহস্থালি ব্যয়ের পরিমাণ মাসিক আয়ের ২৮%-৩৩% এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখুন।
ঘর-গৃহস্থালির যাবতীয় খরচ এই বাজেটের মধ্যেই রাখুন। কখনই বাজেট অতিক্রম করে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করবেন না। তাহলে সেটা আপনার সঞ্চয়ের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
৮. আপনার হোম মেইন্টেইনেন্স খরচ প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করুন।
একটু একটু করে অপ্রয়োজনীয় খরচ গুলো বাদ দিন। তাছাড়া আপনার বাড়ী যদি কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে বন্ধক দেয়া থাকে তবে বন্ধকী অর্থ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিশোধ করার চেষ্টা করুন।
৯. শেয়ার বাজার,বন্ড ইত্যাদিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করুন।
সবসময় শেয়ার বাজারের লেনদেনের দিকে তীক্ষ্ম নজর রাখুন। তা নাহলে ভুল পদ্ধতি বা খাতে বিনিয়োগ করে আপনি আপনার কষ্টার্জিত অর্থ খুঁইয়ে বসতে পারেন।
১০. যেসব ব্যবসাক্ষেত্র সম্পর্কে আপনার ভালো ধারণা নেই সেখানে বিনিয়োগ করা থেকে বিরত থাকুন।
কখনই মানুষের মিষ্টি কথায় প্রলোভিত হয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনি যদি কোন বিনিয়োগ খাত সম্পর্কে সন্দিহান থাকেন তবে অতি সত্ত্বর সেখান থেকে সরে আসুন।
১১. সকল অর্থনৈতিক পলিসির ক্ষেত্রে উচ্চ সুদের হার এড়িয়ে চলুন।
সবসময় সকল লেনদেনের ক্ষেত্রে আপনার জন্য উপযুক্ত পলিসি নির্বাচন করুন। একজন বিনিয়োগকারী হিসবে চড়া সুদের যেসব পলিস আছে সেগুলোতে বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।
- See more at: http://finance.priyo.com/node/1537#sthash.eoL1nHlF.dpuf
0 comments:
Thanks for Comment